সংবাদদাতা,মালবাজার,২৭জানুয়ারি। পেটের জ্বালা বড়ো জ্বালা !
খাবারের খোঁজে এদিকওদিক বা ঝোপঝাড় নয় একেবারে বাড়ির রান্না ঘরে ঢুকে পড়লো চিতাবাঘের শাবক। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে চিতাবাঘের শাবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সে মেটেলি ব্লকের চালসা সংলগ্ন শালবাড়ি গ্রামের রতন সুত্রধরের বাড়িতে।
জানাগেছে, শালবাড়ি এসএসবি ক্যাম্পের কাছে রতন সুত্রধরের বাড়ি। শনিবার সকালে রতন বাবুর মা সকালের রান্নার জন্য হেসেলের দরজা খুলে দেখতে পান বিড়ালের বাচ্ছার মতো এক শাবক ঘুরে বেরাচ্ছে। প্রথমে তিনি অনুমান করেন বিড়ালের বাচ্ছা। পরে বাড়ির লোকজন এসে বুঝতে পারেন ওটা চিতাবাঘের বাচ্চা। একটি ঢামা চাপা দিয়ে বনদপ্তরে খবর দেন।
খবর পেয়ে বন্যপ্রান শাখার খুনিয়া স্কোয়ার্ডের কর্মী ঘটনাস্থলে এসে শাবকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
খুনিয়া স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার সজল কুমার দে বলেন, বাড়ির ভিতরে চিতাবাঘের শাবক রেখে আসা ঠিক নয়। শাবকের খোঁজে মা চিতাবাঘ বাড়িতে চলে আসতে পারে। তখন সমস্যা হবে।সেজন্য নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, পাশেই রয়েছে এক ছোট চা বাগান। সেখানে চিতাবাঘ আছে। মাঝে মধ্যে ছাগল, মুরগী নিয়ে যায়।অবিলম্বে এক এলাকায় খাঁচা পাতা উচিত। কিছুদিন আগে এসএসবি ক্যাম্পে চিতাবাঘের শাবক পাওয়া গিয়েছিল।
চালসার পরিবেশ প্রেমী মানবেন্দ্র দে সরকার বলেন, আড়াই থেকে তিন মাসের শাবক হবে।এখন চাবাগান গুলি চিতাবাঘের আবাস হয়ে গেছে। ফলে চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়েছে। এনিয়ে পরিসংখ্যান নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত না হলে ভবিষ্যতে মানুষ ও চিতাবাঘের সংঘাত বাড়বে।