দ্য উইন্ড ডিজিটাল ডেস্ক :আচ্ছা যদি বলি ও মশাই “দীপুদা” কে চেনেন? নিশ্চয়ই খুব বিরক্ত হবেন, ভেবে বসবেন কে এই দীপুদা, খামোখা তাঁকে চিনতেই বা কেন যাবেন? এ কী সেই সুকুমার রায়ের হযবরল নাকী? ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল। আচ্ছা বুঝতে পারছি এই ঠান্ডাতেও ” দীপুদার” রহস্য ভেদ করতে গিয়ে কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। চলুন দীপু দার রহস্য টা তাহলে বলেই ফেলি। ” দীপুদা” হচ্ছে দীঘা, পুরী, দার্জিলিং। এবার মনে হচ্ছে তো উফ এই সহজ কথাটা আগে মাথায় আসেনি। ঠিকই তো একটা উইকেন্ড আর দুটো ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই পুরী, না হলে অবশ্যই দীঘা। আহা সমুদ্রের গর্জন আর সুনীল জলরাশির আকর্ষণ কী উপেক্ষা করা যায়?
আচ্ছা ভেবে দেখেছেন কোনদিনও এতবার পুরী গিয়েছেন, জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুজোও দিয়েছেন। কিন্তু পুরীর মন্দির থেকে কোনদিন সমুদ্রের গর্জন শুনতে পেয়েছেন? কেন পাননি? চলুন আজকে শুনে নেবো সেই কথাই।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির সমুদ্রের একদম কাছে অবস্থিত হলেও এই মন্দিরে সমুদ্রের গর্জন শোনা যায় না। একটা আশ্চর্য কাহিনী রয়েছে এর পেছনে।
হিন্দুধর্মের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থক্ষেত্র হল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। এখানে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বিরাজ করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
একবার নারদ মুনি শ্রীজগন্নাথ দেব কে দর্শন করতে পুরীর মন্দিরে আসেন। সেই সময় মন্দিরের দরজায় অপেক্ষা করছিলেন হনুমানজী।। নারদ মুনি মন্দিরে প্রবেশ করে , দেখতে পান যে জগন্নাথদেব অত্যন্ত বিচলিত হয়ে রয়েছেন। কী কারণে তিনি বিচলিত, নারদ তা জানতে চাইলে জগন্নাথদেব তাঁকে বলেন যে সমুদ্রের প্রবল গর্জনের কারণে তাঁর মন অশান্ত হয়েছে। এই প্রচণ্ড আওয়াজের জন্য তিনি কোনও কিছুতেই মন দিতে পারছেন না।
নারদ এই কথা হনুমানজীকে বলেন, পবনপুত্র সঙ্গে সঙ্গে হাজির হন সমুদ্রের সামনে। সমুদ্রদেব বলেন একমাত্র হনুমানজীই পারেন এই গর্জন থামাতে? কিন্তু কীভাবে? যদি হাওয়ার গতি উল্টোদিকে বইতে শুরু করে, তাহলে আর সমুদ্রের প্রচন্ড আওয়াজ মন্দিরে পৌঁছাবে না। যেমন কথা তেমন কাজ। হাওয়ার গতি উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিলেন হনুমানজি। ব্যস সমুদ্রের গর্জন থেকে রেহাই পেলেন জগন্নাথদেব।এই কারণেই পুরীর মন্দিরের চূড়োয় পতাকা সব সময় হাওয়ার উল্টোদিকে বয়।