উত্তর ২৪ পরগনা: এমএ-বিএড কমপ্লিট করে মেলেনি চাকরি। তাই অবশেষে বাবাকে সঙ্গী করেই মধ্যমগ্রামে দক্ষিণ ভারতীয় ফুডের স্টল দিয়েই এখন ভালমতো রোজগার করছে চামেলি মিস্ত্রি। মেয়ের এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই পেশায় গাড়ি চালকের কাজ ছেড়ে মেয়ের হাতে হাত দিয়ে এখন এই স্টল সামলাচ্ছেন, দু’নম্বর দেবীগড় এলাকার বাসিন্দা বাবা রাজু মিস্ত্রিও।
চামেলী ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী। পরবর্তীতে সংস্কৃত নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি কমপ্লিট করে বিএড-ও শেষ করেছেন। তবে বহু চাকরির চেষ্টা করলেও তেমনভাবে ফল মেলেনি। বর্তমানে চাকরির এই দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চালাতে বাবাকে সঙ্গী করেই মধ্যমগ্রাম সোদপুর রোডের ধারে দিয়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের স্টল। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজন রিচ খাবার ছেড়ে কোন তেলের সুস্বাদু ধোসা, ইডলি সহ দক্ষিণ ভারতীয় নানা ফুড আইটেম খেতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে। এই বিষয়টিকে উপলব্ধি করেই চামেলী ‘সাউথ জাইকা’ নামে একটি ঠেলা গাড়ির স্টল চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন –
Hot Photo: মাথার ওপর অঝোর ধারায় জল! শরীর চুঁইয়ে পড়ছে, যৌবন মাখা এ কোন দিশা
এখন সন্ধ্যা হলেই বহু মানুষের ভিড় জমছে এই মেয়ে ও বাবার দেওয়া দক্ষিণ ভারতীয় ফুড স্টলে। ধোসা ইডলির পাশাপাশি চাইলে মিলবে ম্যাগিও। দাম শব্দের মধ্যে হয় অফিস ফেরত যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন এমনকি ছাত্রছাত্রীরা চলতি সান্ধ্যকালীন ভোজনের জন্য বেছে নিচ্ছেন এই খাবার। যদিও চামেলী এখনো চাকরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দোকান সামলানোর পাশাপাশি।
মেয়ের এই লড়াই যেন আরওউদ্বুদ্ধ করছে বাবাকে। তাই যদি ভবিষ্যতেও মেয়ে কোনো ভালচাকরি পেয়ে যায় সে ক্ষেত্রেও বাবা একাই দায়িত্ব নিয়ে চালাবেন এই ফুড স্টল বলেই জানালেন। তবে আক্ষেপের সুর গলায় নেই এমএ বিএড করা এই চাকরিপ্রার্থী চামেলি মিস্ত্রি বলেন, চাকরির বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে আশা পায় ছেড়ে দিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে এখন সংসারের হাল ধরতেই এই স্টল দেওয়া। প্রতিদিন নিজের হাতেই সমস্ত কিছু সামলান পাশাপাশি থাকা সময়ে করছেন চাকরির পরও। মধ্যমগ্রামের এই মেয়ের খাবারে যেমন হাত চাটছে মানুষজন, তেমনই প্রশংসায়ও ভরিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। সকলেই এখন চাইছেন কোনও একটি ভাল চাকরি হোক এই কৃতী ছাত্রীর।
Rudra Nrayan Roy
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।