Purulia News: পুলিশি জেরাতেও মুখ খুলছে না সে, কে এই সব্যসাচী? নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে পুলিশও

পুরুলিয়া : পরিকল্পনা ছিল মাও নয়া বঙ্গ ব্রিগেড গঠন করা। সেই মতই এগোচ্ছিল সাংগঠনিক কাজ। পুলিশি তৎপরতায় হল ছন্দপতন। বেঙ্গল ইনচার্জ গ্রেফতারের পরেই বড়সড় ধাক্কা খেল সিপিআই মাওবাদী সংগঠন। পুলিশি জেরার মুখে ভাঙছেনা সব্যসাচী গোস্বামী এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোর দা , তাকে জেরা করেই বঙ্গ মাও সংগঠনের কার্যকলাপ সম্পর্কে বিশদে জানার চেষ্টায় রয়েছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। আর এই প্রশ্নের উত্তরের আশাতেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সব্যসাচী গোস্বামীকে। এছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সব্যসাচী গোস্বামীকে।‌

পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্র মারফর জানা গিয়েছে , রাজ্য কমিটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল একটি স্টেট ওয়ান ও অপরটি স্টেট টু। কারা , কারা কাজ করতএই কমিটিতে ? নতুন সদস্য কতজন ছিল ? সেই সবই প্রশ্ন করা হচ্ছে সব্যসাচীকে কিন্তু পুলিশের জেরার মুখে সেই ভাবে ভাঙতে চাইছে না মাও এই শীর্ষ নেতা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আপাতত চার জনের নাম উঠে এসেছে। অনুপ , সুদীপ , হাকিম , রাক। সব্যসাচী গোস্বামীকে গ্রেফতার করার পর তার কাছে যে নথি পাওয়া গেছে সেখানেই এই নামগুলি ছিল। এই নথির উপর ভিত্তি করেই তদন্তকারীরা বোঝার চেষ্টা করছে বঙ্গে কতখানি মজবুত হয়েছে মাও সংগঠন।

আগাছা ভাবেন, কিন্তু এই শাকই সর্বরোগহরা!


আগাছা ভাবেন, কিন্তু এই শাকই সর্বরোগহরা!

আরও পড়ুন:
এই গ্রামে ঘরে অতিথি এলে তাঁর সঙ্গেই রাত কাটান বাড়ির স্ত্রী! কোথায় এই গ্রাম জানেন?

বাংলা-ঝাড়খন্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , মাও শীর্ষ নেতা কিষানজীর মৃত্যুর পর অনেকখানি নড়বড়ে হয়েছে মাও সংগঠন। তার উপর অযোধ্যা স্কোয়াড ভেঙ্গে গিয়েছে । এরপর এই মাওবাদীদের ঠিকানা হয়েছে দলমা পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা ও বেলপাহাড়ি লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সারেন্ডার জঙ্গল। কিন্তু এর পাশাপাশিও নদিয়া মুর্শিদাবাদ এলাকায় মাও কার্যকলাপ সক্রিয় হয়েছিল এমন তথ্য রয়েছে রাজ্য পুলিশের হাতে। সেই তথ্যই ধৃত সব্যসাচী গোস্বামীর কাছ থেকে বিস্তারে জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চাইছে রাজ্য পুলিশ। জেরায় নয়া-মাও বঙ্গ ব্রিগেড সদস্যদের মাথার খোঁজ চাইছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:
ভোটের আগে জেগে উঠল ISF, লক্ষ্য ভিক্টোরিয়া হাউজের সভা! আদালত কী বলল?

পুলিশী জেরার মুখে সেই ভাবে সব্যসাচী না ভাঙলেও স্টেট ওয়ান কমিটিতে অসীম মন্ডল এর তত্ত্বাবধানে শচীন, মিরা , বীরেন , মদন, জবা এখনো সক্রিয়ভাবে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে সব্যসাচী গোস্বামীর কাছ থেকে। কিন্তু সব্যসাচীর গোস্বামীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে অবাক হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। বিশেষ কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই অবাধে বিচরণ করছিলেন তিনি। সাধারণত একজন মাও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে ঘিরে কমপক্ষে ছয় জন রক্ষীর নিরাপত্তা বলয় থাকে কিন্তু সব্যসাচী গোস্বামী একজনও রক্ষী না নিয়ে জঙ্গলমহলের দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন। আর এটাই সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে জেলা পুলিশকে। তবে অতীতের মাও কার্যকলাপের পুনরাবৃত্তি কোনওভাবেই আর হতে দিতে চাইছেনা জেলা পুলিশ। তৎপরতার সঙ্গে সর্বত্র নজরদারি চালাচ্ছেন তারা।

—– শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।

Source link

0
0

Leave a Comment