মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলার শাড়ি শিল্পের জগতে নয়া মুকুট মিলেছে আগেই। নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের টাঙাইল এবং মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের কোরিয়াল ও গরদের জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ পাওয়ার এই খবর স্বয়ং দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এই শাড়ির জিআই তকমা পেতেই শাড়ির ব্যবসাতে আশার আলো দেখছেন শাড়ি বিক্রেতারা। কারণ আগামী দিনে আরও চাহিদা বাড়বে এই শাড়ির। দামও ন্যায্য হবে বলেই আশাবাদী বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: দৃষ্টি নেই, ভাষা অচেনা, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে বিদেশি গায়িকার গলায় ‘রাম আয়েঙ্গে’ ভজন! মুগ্ধ মোদি
মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরে এই কোরিয়াল ও গরদ শাড়ি তৈরি করে থাকেন বহু শিল্পীরা। এই গ্রামকেই মূলত বলা হয় গরদের কারখানা। এবছর এই এই কোরিয়াল শাড়ি জিআই মার্কা ট্যাগ পেতেই এবার বিশ্ব দরবারে শারীর চাহিদা বাড়বে বলেই আশা করছেন এই শিল্পীরা। তবে কারখানায় তৈরি হওয়া শাড়ি দোকানে বিক্রি হয়ে থাকে। বর্তমানে দোকান মালিকরা খুশি। আগামী দিনে এই শাড়ির যেমন চাহিদা থাকবে তুঙ্গে ঠিক তেমনই আরও দাম বৃদ্ধি পাবে শাড়ির।
মূলত, সাদা সিল্কের সুতোকে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তা দিয়েই তৈরি হয় রঙিন গরদ শাড়ি নামেই পরিচিত। একটি রঙের সিঙ্গল গরদ যেমন বিক্রি হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে ডাবল রঙের গরদও কিনছেন ক্রেতারা। তার সঙ্গে এখন আবার যুক্ত হয়েছে থার্ড গরদ। অর্থাৎ গরদের উপর তাঁতের ছোঁয়া। একটায় কাজ করা থাকছে পায়ের দিকে, আবার দ্বিতীয়টায় বডি এবং তৃতীয়টা মিনা। এই ত্রিমুখী নকশার অভিনবত্ব নজরে ধরেছে আধুনিকাদেরও।
ডিভোর্সের আগেই প্রথম স্বামীর মৃত্যু, নবনীতার জীবনের গল্প
ব্যবসায়ীদের কথায়, মূলত স্বর্ন চুরি, বালুচুরি-সহ বিভিন্ন গরদ শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। উন্নত মানের ক্লাষ্টার মেশিনে তৈরি করা হয় এই শাড়ি। তিন হাজার থেকে শুরু এই শাড়ির দাম। শুধু তাই নয় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি বিক্রি করা হয়ে থাকে। তবে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতে নয়, ভিন রাজ্যে ও অন্যান্য দেশে এই শাড়ির চাহিদাও থাকে তুঙ্গে। দুর্গাপুজোর অষ্টমী হোক বা যে কোনও বিয়ের সময়ে বধূবরণে এই শাড়ি পরেন বধূরা।
কৌশিক অধিকারী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।