হাওড়া: হয়ত আর পাখি দেখা যাবে না সাঁতরাগাছি ঝিলে! শীতের কয়েক মাস বহু পাখি দেখা যায় সাঁতরাগাছি ঝিলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখির দল। দেশীয় প্রায় ১০-১২ প্রজাতি এবং বিদেশি ৮-১০ প্রজাতির পাখি দেখা যেত। তবে গত কয়েক বছরে দারুণ পরিবর্তন। কমবেশি প্রতি বছর পাখি আসে। এর মধ্যে ২০১১ সালে সর্বাধিক পাখি দেখা গিয়েছিল সাঁতরাগাছি ঝিলে। এ বছরও প্রায় ৪৫০০ ছাড়িয়েছে পাখির সংখ্যা।
তবে এবার যে পাখি দেখা গেছে তার ৯৯ শতাংশর বেশি দেশীয় সরাল। বিদেশি পাখি দেখা গেছে কয়েকটা মাত্র। এটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাখিপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞদের মতে সাঁতরাগাছি ঝিলে বাস্তুতন্ত্র দারুণ ভাবে ক্ষতির মুখে। এই ঝিল পাখি এবং জলজ প্রাণীদের অবাসযোগ্য হয়ে পড়ছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। জানা যায় সাঁতরাগাছি ঝিলের আয়তন প্রায় ৯৮ বিঘা। দখলদারি হয়ে বেশ কিছুটা অংশ কম হয়েছে। একইসঙ্গে নোংরা আবর্জনা পড়ে ঝিলের গভীরতা কমছে।
আরও পড়ুন:
তিন টাকাতেই দিলখুশ! এই কচুরির স্বাদেই মজেছে আট থেকে আশি
ঝিল লাগোয়া বসতি বেড়ে যাওয়ার ফলে ঝিলে মিশছে অত্যধিক পরিমাণে দূষণ। একইসঙ্গে প্রতিবছর ঝিলের পরিচর্যা ঠিক মত না হওয়ার ফলেও সমস্যা আরও জটিল। এ প্রসঙ্গে প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দেওয়ান জানান, শীতে পরিযায়ী পাখি দেখতে উত্তরবঙ্গ বা পুরুলিয়া যাবার প্রয়োজন হত না। কলকাতা থেকে সামান্য দূরত্বে বিদেশ নানা পাখি দেখতে সাঁতরাগাছি ঝিলই ছিল মানুষের আকর্ষণ। দু একখানা বিদেশি পাখি আসছে। ঝিলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
দেখে কে বলবে এরা সিনিয়র সিটিজেন! দেহ সৌষ্ঠবের মঞ্চে বাজিমাত এই চিরতরুণদের
তিনি আরও জানান, ২০১০ সাল পর্যন্ত বন দফতর ঝিলের দেখাশোনা করে। তারপর পরিচর্যা অভাব দেখা দেয়। ২০১১ সালে ‘নেচার মেটস নেচার ক্লাব’ এর তরফ থেকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত ঝিল পরিষ্কার হলে। সে বছর সর্বাধিক পাখি এসেছিল। পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজারের বেশি এবং সর্বাধিক প্রজাতি। প্রতিবছর জানুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহে গণনা হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।