নন্দকুমার : রাত জেগে গাড়ি চালকদের পুলিশ দিচ্ছে চাজল! পথ সচেতনতা বা পথ নিরাপত্তায় অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মধ্যরাত ও ভোররাতে গাড়ি চালকদের দেওয়া হচ্ছে চা ও জল। রাস্তায় দুর্ঘটনা কমাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এই উদ্যোগ নজর কেড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আবার পথ দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি ও প্রাণহানীর ঘটনাও তুলনামূলক বেশি। মধ্যরাত ও ভোররাতে পথ দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের চা ও জল দিচ্ছেন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
বিভিন্ন সমীক্ষায় পথ দুর্ঘটনার সময় হিসেবে উঠে আসছে মধ্যরাত থেকে ভোররাত। বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাক মধ্যরাতের পর বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এছাড়াও দূরের গন্তব্যে যাওয়া ছোট গাড়ি বাইক আরোহীরাও মধ্যরাতের পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন বেশি। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উঠে আসছে, শীতের সময় একটানা গাড়ি চালানোর দখল নিতে পারছে না চালকেরা। ফলে গাড়ি চালাতে চালাতেই ঝিমুনি ভাব। আবার একটানা গাড়ি চালানোর ফলে ঠান্ডায় শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছে না। ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালানো ও হাতে-পায়ের অসাড়তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। একটানা গাড়ি চালানোর হাত থেকে রক্ষা করতে বা গাড়ি চালকদের ঝিমুনি ভাব কাটাতেই ভোররাতে বা মধ্যরাতে ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে রাস্তার মোড়ে চা ও জল দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এক গ্লাস দুধ ও রুপোর আংটি দিয়ে শনিবার রাতে করুন এই কাজ! রাতারাতি ভাগ্য বদল! জানুন জ্যোতিষ-বিদের মত
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড় নন্দকুমার। একদিকে দিঘা যাওয়ার ১১৬ বি জাতীয় সড়ক, অন্যদিকে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল যাওয়ার জাতীয় সড়ক ১১৬ মিলিত হয়েছে। ফলে নন্দকুমার মোড়ের ওপর দিয়েই দীঘা যাওয়ার গাড়ি এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল যাওয়ার অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে। ট্রাক চালক ও অন্য গাড়ি চালকদের একটানা গাড়ি চালানোর ধকল কমাতে এবং চালকদের ঝিমুনীভাব কাটাতে নন্দকুমার থানার ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে মধ্যরাতের পর চা ও জল দেওয়া হচ্ছে। নন্দকুমার থানার ট্রাফিক অফিসার গোপাল মাইতি নেতৃত্বে গাড়ি চালকদের চা ও জল তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
আপনার বাচ্চা কী অল্পতেই মেজাজ হারাচ্ছে? বাচ্চার মন বোঝেন তো? না হলেই বিপদ! জানুন
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জাতীয় সড়ক রাজ্য সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। পথ দুর্ঘটনারোধে রাতে চালকদের চা ও জল দেওয়ার বিষয়ে জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক পবিত্র কুমার বারিক জানান, ‘শীতের রাতে গাড়ি চালকদের একটানা গাড়ি চালানোর ফলে হাতে-পায়ে অসাড়তা ভাব ও ঝিমুনী চলে আসে। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে রাস্তায়। দুর্ঘটনায় বেড়াতেই চালকদের রাস্তার মোড়ে মোড়ে রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তারই অঙ্গ হিসাবে চাও ও জল তুলে দেওয়া হচ্ছে।’ রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ি চালকদের চা ও জল দেওয়ার পাশাপাশি রোড সেফটি বা সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি হিসাবে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
সৈকত শী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।